দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক সাফল্য! আনন্দে ভাসছে স্প্রিংবকরা!

দক্ষিণ আফ্রিকান সমর্থকদের মুখে চওড়া হাসি! এই হাসি আনন্দের। দীর্ঘ্য কষ্ট চেপে রাখার পর যখন চুড়ান্ত সাফল্যের সন্ধান মিলে, তখন আনন্দটাও অর্থবহ হয়। বিশ্ব টেষ্ট ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভের পর তাদের উচ্ছাসটাও বাধভাঙ্গা! আনন্দের উপলক্ষ প্রিয়মুখদের নিয়েই উদযাপন করতে হয়। সে জন্যেই টিভি পর্দায় বারবার দেখাচ্ছিল লর্ডসের গ্যালারীতে বসা দক্ষিণ আফ্রিকান ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। আর শিরোপা জয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের সেলিব্রেটিদের অনুভূতি টিভি পর্দায় তুলে ধরার দায়িত্ব দেয়া হয় সেই দলের সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ এবং ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেনকে। যদিও বিশ্বের তাবৎ সেরা ধারাভাষ্যকাররা লর্ডস ষ্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন, তবুও কোন ইভেন্টে একটি দেশের সাফল্যের আবেগ আর অনুভুতি বর্ণনা করতে গেলে সেই দেশের কারো চেয়ে অন্য কেউই যুৎসই নয়!
৯৮ সালে ঢাকায় উইলস ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ক্রিকেটের বড় কোন প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথমবারের মত সফল হল স্প্রিংবকরা। ইতিপূর্বে আইসিসির প্রায় ১৫টি প্রতিযোগিতায় নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে নিজেদের নামের পাশে চোকার উপাধি পেয়েছিল তারা। চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রানের বড় টার্গেট অষ্ট্রেলিয়ান বোলিং আক্রমণ ডিঙ্গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জেতা নিয়ে সংশয় ছিল অনেকেরই। কিন্তু এবার আর ‘চোক’ (চাপে ভেঙ্গে পড়া) করেনি সাউথ আফ্রিকা।
এইডেন মার্করামের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে এই বিজয় সম্ভব হয়। মার্করাম করেন ২০৭ বলে ১৩৬ রান। জয়ের জন্য যখন দরকার ৬ রান তখনই আউট হয়ে যান এইডেন।
৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শেষ ওভারে অ্যালান ডোনাল্ডের দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের কারনে ১ রানে অষ্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজেনার প্রায় একাই ম্যাচটি জিতিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁর দলকে।
বিগত টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যে হাতে ৬ উইকেট নিয়েও শেষ চার ওভারে ২৬ রান নিতে পারেনি দক্ষিন আফ্রিকা।
এরকম অসংখ্য হতাশাকে পিছনে ফেলে এবার বিশ্ব টেষ্ট চ্যাম্পিনশীপের শিরোপা লাভ করেছে প্রোটিয়াসরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই জয় শুধু তাদের জন্য নয়, ক্রিকেটে পিছিয়ে পড়া অন্য দলগুলোর জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে!